জাল দলিল করে ব্যবসায়ীর জমি দখলের পাঁয়তারা
লক্ষ্মীপুরে জাল দলিল তৈরির মাধ্যমে জমা খারিজ করে মহিবুল মান্নান ইমরান নামে এক ব্যবসায়ী ৫০ শতাংশ জমি দখলের পাঁয়তারা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায়ের কার্যালয়ে ভূক্তভোগী ইমরান লিখিত অভিযোগ করেন।
সাংবাবিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইমরান।
সম্পর্কিত খবর
ভূক্তভোগী ইমরান সদর উপজেলা বশিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব বশিকপুর গ্রামের মৃত হাজী মোহাম্মদ মজিবুল মান্নানের ছেলে ও মোবাইল ব্যবসায়ী।
অভিযোগ সূত্র জানায়, ১৯৫৮ সালে ইমরানের দাদা আবদুল মান্নান পূর্ব বশিকপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিন ও তার স্ত্রী রেজিয়া বেগম কাছ থেকে ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকে ওয়ারিশ সূত্রে ইমরানের বাবা হাজী মোহাম্মদ মজিবুল মান্নান ওই জমির মালিক হন। ২০২১ সালে ইমরানের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে জয়নালের ছেলে নুর নবী ও নুরুল হুদা ওই জমি তাদের বলে দাবি করে। পেশাগত কারণে পরিবারসহ ইমরান ঢাকায় বসবাস করেন। সেই সুযোগে গাছ লাগিয়ে ইমরানদের জমি তারা দখলের চেষ্টা করে। এতে বাড়িতে গেলো তারা ইমরানদের মারধরের চেষ্টা চালায়।
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিসী বৈঠক হয়। এতে জমির মালিকানা ইমরানদের বলে প্রমাণিত হয়। এরপরও নুরনবী ও নুরুল হুদা জোরপূর্বক জমি দখল করতে চায়। পরবর্তীতের উকিল সালিসের আহবান করা হয়েছে। সেখানেও তারা হেরে যায়। এতে তারা কৌশলে জাল দলিল তৈরি করে সম্প্রতি নিজেদের নামে ৩০ শতাংশ জমি জমা খারিজ করে নেয়।
মো. মহিবুল মান্নান ইমরান বলেন, জোর করে জমি দখল করার চেষ্টায় নুরনবী ও নুরুল হুদা ব্যর্থ হয়। এতে তারা কৌশল অবলম্বন করে। এতে জাল দলিল করে নুর নবী ও নুরুল হুদা আমাদের ৩০ শতাংশ জমি নিজেদের নামে জমা খারিজ করে নেয়। আমি জাল দলিল ও জমা খারিজের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি।
জানতে চাইলে নুর নবী বলেন, জাল দলিলের ঘটনা মিথ্যা। আমাদের জমি আমারা জমা খারিজ করেছি। তাদের কোন জমি আমরা দখলে নিইনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় জানিয়েছেন, অভিযোগটি এখনো আমার কাছে আসেনি। অভিযোগ করে থাকলে অবশ্যই তদন্ত করে শুনানির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম